১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পঞ্চম অধ্যায় : মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবির পরিচয়

-

প্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ‘পঞ্চম অধ্যায় : মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয়’ থেকে আরো ২টি বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন : শান্তি সংঘের উদ্দেশ্যগুলো কী কী?
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স)-এর হৃদয় ছিল অত্যন্ত কোমল। ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট সইতে পারতেন না। তাঁর কৈশোর বয়সে ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকাময় করুণ দৃশ্য দেখে, আহতদের করুণ আর্তনাদে তাঁর কোমল হৃদয় কেঁদে উঠল। তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। তখন তিনি আহতদের সেবা করার জন্য মক্কার শান্তিকামী উৎসাহী যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুযূল’ নামে একটি শান্তি সংঘ গঠন করলেন। এই শান্তি সংঘের যে উদ্দেশ্য ছিল তা হলোÑ
১) আর্তের সেবা করা, ২) অত্যাচারীর উপর প্রতিরোধ নেওয়া, ৩) অত্যাচারিতকে সাহায্য করা, ৪) সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, ৫) গোত্রে-গোত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখা ইত্যাদি। হযরত মুহম্মদ (স) তাঁর প্রচেষ্টায় অনেক সফলতা লাভ করেছিলেন। তিনি শান্তি সংঘের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। সুতরাং আমাদেরও উচিত তাঁর মতো দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো, তাদের সেবা করা।
প্রশ্ন : হযরত মুহম্মদ (স)-এর নবুয়ত লাভের ঘটনা সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স) শিশু বয়স থেকেই মানুষের মুক্তির জন্য, শান্তির জন্য ভাবতেন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাঁর এ ভাবনা আরও গভীর হয়। খাজিদা (রা)-এর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তাঁর ধ্যান সাধনা আরও বেড়ে যায়। মূর্তি পূজা ও কু-সংস্কারে লিপ্ত এবং নানা দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত মানুষের মুক্তির জন্য ছিল তাঁর সব ভাবনা। মানুষ তাঁর স্রষ্টাকে ভুলে যাবে, হাতে বানানো মূর্তির সামনে মাথানত করবে। এটা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। কী করা যায়, কিভাবে মানুষের হৃদয়ে এক আল্লাহর ভাবনা জাগানো যায়। কী করে কুফর-শিরক থেকে তাদের মুক্ত করা যায়। এ সকল বিষয়ের চিন্তা-ভাবনায় তিনি সবসময় মগ্ন থাকতেন। বাড়ি থেকে তিন মাইল দূরে নির্জন হেরা পর্বতের গুহায় নির্জনে ধ্যান করতেন। কখনো কখনো একাধারে দুই তিন দিনও সেখানে ধ্যানেমগ্ন থাকতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধ্যানমগ্ন থাকার পর অবশেষে চল্লিশ বছর বয়সে রমজান মাসের কদরের রাতে তাঁর ধ্যানমগ্ন আঁধার গুহা হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠল। আল্লাহর ফেরেশতা জিবরাঈল (আ) আল্লাহর মহান বাণী ও ওহি নিয়ে আসলেন। মহানবি (স)-কে লক্ষ করে বললেনÑ ‘ইকরা’ পড়–ন। তিনি মহানবি (স)-কে সূরা আলাক এর প্রথম পাঁচটি আয়াত পাঠ করে শোনালেন এবং রাসুল (স)- কে পাঠ করালেন। এরপর ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আ) তাঁকে নবি হওয়ার সুসংবাদ জানালেন এবং বললেন, হে মুহম্মদ (স), আপনি আল্লাহর রাসুল। এভাবেই মুহম্মদ (স) নবুয়ত লাভ করলেন। তারপর থেকে তাঁর ওপর বিশ্বমানবের পথপ্রদর্শক, মুক্তির সনদ কুরআন নাজিল শুরু হয় এবং তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আবারো ভারতের নির্বাচন তাপপ্রবাহের মুখে, সতর্ক করল আবহাওয়া ব্যুরো সব বন্দীকে ফিরিয়ে আনব : নেতানিয়াহু বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু বোরোর ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী আত্মরক্ষার অধিকার বৈধতা দেয় না গণহত্যাকে চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী সার্বিয়া ডিমের ডজন ১৫০ ছাড়িয়েছে, নাগালে আসছে না মাছ ও সবজি যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না : মার্কিন উপ-মুখপাত্র শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

সকল